বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে স্কুলের চাকরি থেকে আগেই বরখাস্ত করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে । সেই মামলায় এবার আরও বড় নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার আদালত জানাল, যাঁকে টপকে অঙ্কিতার নাম উঠে গিয়েছিল স্কুল সার্ভিসের নিয়োগ তালিকায়, সেই ববিতা সরকারকে নিয়োগ দিতে হবে। প্রসঙ্গত, ববিতার মামলাতেই চাকরি গিয়েছে অঙ্কিতার।
আদালত সেই মামলায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে। এবার ববিতা দিদিমণি হতে চলেছেন।
চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি আদালত অঙ্কিতাকে এও বলেছিল, এতদিন তিনি যে বেতন পেয়েছেন সেই টাকা ধাপে ধাপে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যে পরেশ কন্যা প্রথম কিস্তির প্রায় আট লক্ষ টাকা জমা দিয়েছেন আদালত। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, অঙ্কিতা যেদিন কাজে যোগ দিয়েছিলেন, সেই দিন থেকেই ববিতাকে নিয়োগ দিতে হবে। এই সময়কার বকেয়া বেতনও মিটিয়ে দিতে হবে ববিতাকে।
এদিন হাইকোর্ট এও বলে দিয়েছে, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে ডিআই অফিসকে ববিতার নিয়োগপত্র তৈরি করে ফেলতে হবে। ৩০ জুন যাতে তিনি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে। অঙ্কিতাকে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা করতে হবে হাইকোর্টে ।
আরও পড়ুনঃ গত ২৪ ঘণ্টায় লেশে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত
প্রসঙ্গত, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। আর এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা। তার থেকেও বড় কথা হল, ববিতা সরকার পারসোনালিটি টেস্ট দিয়েছিলেন।
তাতে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা অধিকারী পারসোনালিটি টেস্টই দেননি। এর থেকেই পরিষ্কার যে অঙ্কিতা অধিকারীকে মেধা তালিকায় আমদানি করা হয়েছিল। মেধা তালিকা তথা ওয়েট লিস্টে ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতাকে ১ নম্বরে ঢোকানোয় ববিতা চলে যান ২১ নম্বরে। এই অবস্থায় মেধা তালিকা থেকে প্রথম ২০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ফলে ববিতা বঞ্চিত হন।