কলকাতা টুডে ব্যুরো:কেকে’র মৃত্যু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।তাঁর কথায়, “কলেজ নয়, এটা আসলে তৃণমূলের আয়োজিত অনুষ্ঠান। চক্রান্ত করে কেকে’কে মেরে ফেলা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন কেকে। তৃণমূল নেতারা তাঁকে গান গাইতে বাধ্য করান। সত্য ধামাচাপা দিতেই গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
তাঁর আরও দাবি, “এর থেকে যে অপরাধ বোধ তৈরি হয়েছে, তা ঢাকা দিতে গান স্যালুট। আর ওঁর মৃতদেহ চুরি করার অভ্যেস রয়েছে। অসুস্থ হওয়ার পর হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল কেন? কেকে তো নিজে ঠিক করবেন না। উনি তখন অসুস্থ। বাকিরা কী করছিল? কার দায়িত্ব ছিল? উনি অসুস্থ বোধ করছেন, পাশে থাকা লোকজন চিৎকার করছে। একটা বদ্ধ জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা গান করানো হয়েছে। অমানবিক ঘটনা।”, বলে কেকে-র মৃত্যুর তদন্তের দাবি করেন।
তিনি বলেন,”বড় তারকারা কি আর কোলকাতায় আসবেন? তারা ঠিক করবেন, তারা কি করবেন। শিল্পীরা বলেছেন এই জন্য আমরা নজরুল মঞ্চে যাই না। আমাদের বাংলার শিল্পীরা যেতে সাহস করেন না । কেন এইধরণের পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। আনন্দ কে দুঃখে পরিণত করার যে চক্রান্ত। এর পিছনে কে কারা।সব জায়গায় রাজনীতি। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতিকে টেনে গিয়ে তার থেকে ভোট নিতে হবে।মানুষের জীবনের মূল্যে। ভাবার দরকার আছে”।
এদিন সৌরভ গাঙ্গুলী প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বললেন ,”সৌরভ গাঙ্গুলী যা করবেন, বড়ই করবেন, এতোদিন যা করেছেন, বড়ই করেছেন। সফলভাবে করেছেন। আমরা অপেক্ষা করছি। ওনার সাফল্য কামনা করি। উনি কি ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন? আমার হাতে নেই। আমার পক্ষে বলাও সম্ভব নয়। যা হচ্ছে, ভালোর জন্যই হচ্ছে। :
অর্জুন বলেছেন দিলীপ মুখ খুললে ৫০০ করে ভোট কমে যায় বিজেপির। অর্জুনকে পাল্টা দিলীপ বলেন ,”ওনাকে তো দল বাড়াবার জন্য এনেছিলাম। সব তো পালিয়ে গেল। উনিও শেষে পালিয়ে গেলেন। ওর কথার কোনো গুরুত্ব নেই। “