কলকাতা টুডে ব্যুরো: বৃহস্পতিবার খড়্গপুর স্টেডিয়ামে ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পে কারিগরি শিক্ষায় সফলদের নিয়োগ পত্র বিতরণের সভায় একাধিক কর্মসংস্থানের দিশা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর আগেই সব জেলায় মিলিয়ে যেমন ৩০ হাজার কর্মসংস্থানের কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই একই মঞ্চ থেকে ফের চপ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহের পরামর্শ দিলেন তিনি।
“কোনো কাজই ছোট নয়” দাবি করে, চা-বিস্কুট, ঘুগনি, তেলেভাজা থেকে শুরু করে রাস্তা থেকে কাশফুল কুড়িয়ে নিয়ে ব্যবসা করার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “আমার কথা শুনে অনেকেই টিটকিরি দেন। আমি বলছি, আপনি এক হাজার টাকা নিন, তা দিয়ে একটা কেটলি কিনুন আর কয়েকটা মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট রাখুন। আস্তে আস্তে বাড়বে। প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন, তারপরের সপ্তাহে মাকে বললেন, একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও। তারপরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আরেকটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে, দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত বড় মানুষ আছেন তাঁরা সকলেই মাটি থেকে উঠেই বড় হয়েছেন, এটাই তাঁদের কাহিনি। এটাই তাঁদের গর্ব।”
তিনি বলেন, “কেউ যদি ব্যঙ্গ করে বলে তুই এটা করছিস? বলবেন এভাবেই আমি কোটিপতি হব।” চা-ঘুগনি-তেলেভাজা-ঝালমুড়ির দোকানের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা নিয়ে বাড়িতেই ছোট দোকান খুলে ব্যবসা শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “আপনারা যাঁরা স্কিল ট্রেনিং নিয়ে এলেন, তাঁদের বলব, বাড়িতেই দোকান করে কাজ করুন। কিন্তু একটু খেটে খেতে হবে, শরীরের নাম মহাশয়।” তিনি বলেন, বাড়ির মধ্যেই একটি ছোট বিউটিপার্লার খুললেও ধীরে ধীরে সেই পার্লার বড় ব্যবসায় পরিণত হতে পারে।
তিনি জানান, রাস্তায় কাশফুল পড়ে থাকে। বিনামূল্যে সেই ফুল তুলে নিয়ে দিয়ে, তা দিয়ে বালিশ-লেপের মতো পণ্য তৈরি করা যেতে পারে। অনেকেই কাশফুলের লেপ-তোষক পছন্দ করেন বলে দাবি করেছেন তিনি। মমতা বলেন, “মনে রাখবেন, আমি বিত্তমান হতে চাই না, আমি বিবেকবান হতে চাই। মনে রাখবেন আজ আছি, কাল নেই। আমার একটা ঘর আছে, বিছানা আছে, বাথরুম আছে…আর কী চাই?”
Topics
Mamata Banerjee BJP TMC Administration Kolkata