কলকাতা টুডে ব্যুরো: ফের সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক শ্রেণীর সংবাদমাধ্যম বিচারব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। রবিবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন হলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সংবাদমাধ্যম ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখমন্ত্রীর আশঙ্কা, দেশ ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে একমাত্র বিচারব্যবস্থাই দেশবাসী, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর।
রবিবার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জিউরিডিক্যাল সায়েন্সেস-এর ১৪তম সমাবর্তনে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উদয় উমেশ ললিত, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ বহু বিশিষ্ট জন। ছিলেন রাজ্যের তিন মন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই বিচারব্যবস্থার কাছে গণতন্ত্রকে রক্ষার আবেদন জানালেন মমতা। পাশাপাশি গর্জে উঠলেন মিডিয়া ট্রায়ালের বিরুদ্ধে ।
এদিন বিচারপতিদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ করে বলেন, ‘বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে। মিডিয়া বিচারব্যবস্থাকে গাইড করছে।’ তাঁর কথায়, ‘সংবাদমাধ্যম বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা কাউকে অপরাধী বলে দাগিয়ে দিতে পারে না। আমার সম্মান নষ্ট করে দিতে পারে না এরা। মানুষের সম্মানই বড়। আমাদের সম্মান চলে গেলে সব চলে যায়।’ বিচারব্যবস্থার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, ‘যাঁরা নেতৃত্বে আছেন, যাঁরা ভবিষ্যতে যাবেন এই জায়গায়, আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো রক্ষা করুন। অযথা মানুষকে হেনস্তা করা হচ্ছে।’
এদিন দেশের প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ললিতজি আগামী মাসেই অবসর নেবেন। এই দু’মাসে আমরা দেখেছি বিচারব্যবস্থা কাকে বলে! আমি বলছি না বিচারব্যবস্থা থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে গিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে বিচারব্যবস্থাই একমাত্র মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচায়। বিচারব্যবস্থা মানুষের কান্না শুনুক।’