কলকাতা টুডে ব্যুরো: টেট দুর্নীতিকাণ্ডে আপাতত ED হেফাজতে মানিক ভট্টাচার্য, চলছে জেরা। এরই মধ্যে তাঁর মোবাইলে সংরক্ষিত দুটি নাম ঘিরেই গভীর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতির কল লিস্টে মিলেছে ‘RK’ এবং ‘DD’ নামে দুই ব্যক্তির নম্বর। নিয়োগের তালিকা নিয়ে একাধিকবার ‘RK’-কে নামক ব্যক্তিকে ফোন করেছেন মানিকবাবু। জানিয়েছেন ‘DD’-র অনুমোদনের কথাও। কে এই ‘RK’ ও ‘DD’? উঠছে প্রশ্ন। আপাতত সেই খোঁজেই হিমশিম অবস্থা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। কিন্তু, গোয়েন্দারা যা পারছেন না, সেই রহস্যভেদ সহজেই করে ফেলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী!
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 12, 2022
‘RK’ এবং ‘DD’কে? তা কার্টুন চিত্র সহযোগে তুলে ধরেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। নিজের টুইটারে সংলাপ সহ সেই কার্টুন চিত্র পোস্ট করেছেন তিনি। রহস্যভেদে বাঙালির সর্বকালের অন্যতম প্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’, ‘লালমোহনবাবু’ ও ‘তোপসে’। কার্টুন মোতাবেক ইডির আধিকারিকরা ‘RK’ এবং ‘DD’-র খোঁজে ফেলুদার শরণাপন্ন।
দেখা যাচ্ছে, শুরুতেই মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের কথা ফেলুদাকে জানাচ্ছেন লালমোহনবাবু। জবাবে ফেলুদা বলছেন, আরও আগে হলেই ভালো হত। উঠে আসছে তথ্য প্রমাণ লোপাটের বিষটিও।
প্রশ্ন উঠছে যে, তথ্য প্রমাণ লোপাট হলে কীভাবে দুর্নীতির মাথাদের ধরবে ইডি? এক্ষেত্রে অবশ্য ফেলুদার স্পষ্ট জবাব, সবটাই নির্ভর করছে গোয়েন্দারের মগজাস্ত্রের উপর।
এরপরই কার্টুন চিত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রদোষ মিত্তর বাড়িতে হাজির হয়েছেন ইডি-র আধিকারিক। ‘RK’ এবং ‘DD’-র সন্ধানে ফেলুদার সহায়তা চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। ‘RK’ ও ‘DD’র সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের সম্পর্ক, তাঁদের কথোপকথন ফেলুদাকে বিস্তারিত জানান ইডি আধিকারিক।
পুরোটা শুনে ফেলুদা ‘RK’ এবং ‘DD’ নামের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে থাকার কথা বলেন। কার্টুন চিত্রে ফেলুদা বলছেন, ‘ধাঁধাটি হলো, ইংরেজি শব্দ ব্যবহার হলেও অর্থ কিন্তু হলো গিয়ে বাংলায়।’ ফেলুদার কথায়, ‘আপনি বাংলায় দিদি শব্দটি যদি ইংরেজিতে লিখে মোবাইলফোনে নম্বর সেভ করেন, কি বানান লিখবেন?’ উত্তরে ইডি আধিকারিক বলেন ‘DD, তাই তো। বোঝা গেলো পার্থ মানিক চুনোপটি। আসল মাথা হাওয়াই চটি।’ রহস্যভেদ শেষেই গল্পের সমাপ্তি হয়েছে।
টুইটে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘এই ভাবে যদি রহস্যের জাল কেটে সত্য খুঁজে নেওয়া যেত, তাহলে হয়তো তদন্ত শীঘ্রই শেষ করে প্রকৃত দোষীদের সাজা দেওয়া যেতো।’