কলকাতা টুডে ব্যুরো: ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ‘কুরুচিকর অশ্লীল’ মেসেজ করা হচ্ছে জানিয়ে রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগের আঙুল তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। পরে সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানালেনও সে কথা। শুভেন্দু লিখলেন, দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার পাশাপাশি বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ‘জেহাদ ঘোষণা করেছেন’ তৃণমূল সাংসদ।
ওই অভিযোগ করার পাশাপাশিই শুভেন্দু প্রচ্ছন্ন এবং পরোক্ষ ভাবে এ-ও জানিয়ে রেখেছেন যে, পুলিশ ওই বিষয়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। শুভেন্দু তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এই বিষয়ে আমার উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়োজন হবে না।’’
বৃহস্পতিবার ফেসবুকে একটি পোস্টে শুভেন্দু জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে ক্রমাগত ‘অশ্লীল’ মেসেজ এসেছে তাঁর মোবাইলে। সেই নিয়ে রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখার দ্বারস্থ হয়েছেন। পাশাপাশিই, ওই শাখার ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। যদিও আস্থা প্রকাশ করেছেন, তাঁর অভিযোগেরও সমাধান করবে রাজ্য পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন শাখা।
শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘তোলাবাজ ভাইপোর লুম্পেন র্যাকেট সক্রিয় হয়ে আমার ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কয়েক শত কুরুচিকর অশ্লীল মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র পাঠিয়েছিল গত দু’দিন ধরে। ভাইপো শুধু দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করে বাংলার অর্থনীতিকে ধ্বংস করেই ক্ষান্ত হয়নি, এ বার বাংলার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেছে।’’
এর পরেই সাইবার অপরাধ দমন শাখার ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। ঘটনাচক্রে, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ‘কুকথা’ বলে জেলে গিয়েছিলেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায়। নাম না করলেও সেই প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘‘আশা করব, ইউটিউবারদের বিরুদ্ধে এই বিভাগ যে ভাবে সক্রিয় হয়, কোনও কোনও ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তার নিদর্শন পেশ করে, তেমন ভাবেই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’’ যে সব নম্বর থেকে তাঁর মোবাইলে মেসেজগুলি এসেছিল, সেই নম্বরগুলিও সমাজমাধ্যমে তুলে দিয়েছেন শুভেন্দু।