Home NEWSCITY TALKS Amit Saha – ভোটে জেতার জন্য নিজের জায়গা মজবুত করতে হবে বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর

Amit Saha – ভোটে জেতার জন্য নিজের জায়গা মজবুত করতে হবে বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর

by Web Desk
Amit Saha - ভোটে জেতার জন্য নিজের জায়গা মজবুত করতে হবে বার্তা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর

নির্বাচনে লড়তে গেলে কোন কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও তদন্তকারী সংস্থার উপরে নির্ভর করে থাকলে হবেনা

রাজ্যে এসে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন , নির্বাচনে লড়তে গেলে কোন কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনও তদন্তকারী সংস্থার উপরে নির্ভর করে থাকলে হবেনা।  রাজ্য নেতৃত্বকে নিজেদের জোরেই ভোট লড়তে হবে! তৃণমূলের সঙ্গে লড়তে গেলে যুদ্ধটা হতে হবে আরও কঠিন তবেই মাঠে নেমে লড়াই হবে অনেক সহজ। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাশে থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার সব সময় পাশে থাকবেনা তেমনটাও বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

অনেকের মতে, অমিত শাহের এই বার্তা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে হতাশাজনক

অনেকের মতে, অমিত শাহের এই বার্তা রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে হতাশাজনক। কারণ, মাঠে নেমে লড়ার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা,একধিক তারিখ ও আলোচনাও হয়েছে তবু সঠিক কোন দিক খুঁজে পায়নি বিজেপি। বিজেপি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সেই বার্তাই আবার স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিয়েছেন শাহ।

দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ এবং বৈঠক চলে নিউ টাউনের হোটেলে সোমবার মধ্যরাতে কলকাতায় আসেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গেই আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সকালে বড়বাজারের গুরুদ্বার এবং কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান দু’জনে। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মধ্যাহ্নভোজ এবং বৈঠক চলে নিউ টাউনের হোটেলে।

সেখানে রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক দিক যাঁরা দেখেন তাঁদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সুকান্ত, শুভেন্দু ছাড়াও সেখানে ছিলেন পাঁচ সাধারণ সম্পাদক। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। বর্তমানে কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বে না থাকলেও ডাক পেয়েছিলেন দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এবং দিলীপ ঘোষ।

সূত্র মারফত জান যাচ্ছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই বৈঠকে কারা আসবেন, তা শাহ-নড্ডাই ঠিক করে দিয়েছিলেন। রাহুল এবং দিলীপকে ডেকে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদেরও গুরুত্ব দেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনে।

প্রসঙ্গত, রাহুল রাজ্য সভাপতি থাকার সময়ে ২০১৪ সালে বাংলা থেকে দু’টি আসনে জেতে বিজেপি। আর দিলীপের জমানায় ১৮টি আসন পায়। বিধানসভা নির্বাচনেও ৭৭ আসনে জয় এসেছিল দিলীপের সময়ে।

নেতারা কাজ না করলে কর্মীরা নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারবেন না

জানা গিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত সকলেরই মতামত শুনেছেন শাহ ও নড্ডা। কী কী করা দরকার লোকসভা নির্বাচনে, তা নিয়ে সকলের পরামর্শও শুনতে চেয়েছেন তাঁরা। এদিন তাঁরা স্পষ্ট করে দেন যে, শুধু পরামর্শ নয় আসল কাজ করে দেখাতে হবে। নেতারা কাজ না করলে কর্মীরা নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারবেন না। গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ‘নির্ভরতা’ কমিয়ে বুথে বুথে সংগঠন মজবুত করতে বলেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

দিল্লির নির্দেশে রাজ্যে ‘মেরা বুথ, সব সে মজবুত’ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছিল। জানা যাচ্ছে, এ বারেও ‘বুথ সশক্তিকরণ’ কর্মসূচি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সে ‘কাজ’ কতটা হয়েছে, তার হিসাবও শাহ-নড্ডা মঙ্গলবারের বৈঠকে চেয়েছেন বলে খবর। সেই হিসেব রাজ্যের নেতারা দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু একাধিক নেতার মতে  দুই শীর্ষনেতা খুব খুশি হননি। দিল্লিতে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব তড়িঘড়ি বুধবারেই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Comment