মঙ্গলবার সকালে প্রাক্তন পুলিশ অফিসার এবং তৃণমূল প্রার্থী প্রচারে হাজির হয়েছিলেন। যদিও তাঁর সঙ্গে জেলার কোনও তৃণমূল নেতাকে দেখা যায়নি। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বক্সী, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নুর, এবং মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, এমনকি স্থানীয় বিধায়ক সমীর মুখার্জি- দলের কেউই প্রসূনের সঙ্গে প্রচারে যোগ দেননি। প্রচারের প্রথম দিনেই তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সঙ্গে মালদায় প্রচার চালান। প্রসূন জোর দিয়ে বলেন, সবে প্রচার শুরু হয়েছে আলাপ আলোচনার পর সবাইকেই দেখতে পাওয়া যাবে। যদিও বিজেপির মন্তব্য,
“তৃণমূল কর্মীরা আসলে হতাশ। কারণ মালদহের দুটি কেন্দ্র তেই বহিরাগতদের প্রার্থী করেছে তৃণমূল।”
উল্লেখ্য, দক্ষিণ মালদহের প্রার্থী হিসেবে শাহনেওয়াজ আলি রহমানকে মনোনয়ন করেছে তৃণমূল। তবে দলটির জেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহিম দাবি করছেন, এখানে বিবাদ সৃষ্টি করার কোনো জায়গা নেই। তাঁর কথায়, “আমাদের উত্তর মালদার প্রার্থী থাকবেন পুরনো মালদাতেই। তাই আজ থেকে তাঁর প্রচার শুরু হয়েছে।” উত্তর মালদায় তৃণমূল তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার পর, সোমবার মালদায় আসেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার প্রসূন। মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিনে পুরনো মালদহের বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রচার করেন তিনি এবং নিজে দেওয়াল লিখনে অংশ নেন। কিন্তু তৃণমূলের কোনও বিশিষ্ট মুখকে জেলায় তাঁর প্রচারে দেখা যাচ্ছে না কেন? প্রসূনের প্রতিক্রিয়া, “সবাই আমার পাশে আছে। মালদায় বিজেপির কিছুই হবে না। বিজেপি ধুলোয় ভেসে যাবে।” পাশাপাশি তার সংযোজন, “নিজের হাতে দেওয়াল লিখব। কাউন্সিলররা আছেন। টাউন প্রেসিডেন্ট আছেন। সবার সঙ্গে আলোচনা করব। এরই মধ্যে প্রচার শুরু হয়ে গেছে। এর পর নিয়মিত প্রচার হবে। যেখানে যেখানে বিরোধী দল জিতেছে, সেখানে সেখানে আমরা প্রবেশ করব এবং জিতব।”