Home খেলাধুলাফুটবল ‘প্রথম ডার্বি ছিল অসম, এবার আমরা তৈরি’, বলছেন ফাওলারের সহকারী

‘প্রথম ডার্বি ছিল অসম, এবার আমরা তৈরি’, বলছেন ফাওলারের সহকারী

by Kolkata Today

কলকাতা টুডে: আইএসএলে এসসি ইস্টবেঙ্গল তাদের অভিষেক ম্যাচটাই খেলেছিল ডার্বি। প্রথম ম্যাচেই রবি ফাওলারের দলের প্রতিপক্ষ ছিল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এটিকে মোহনবাগান। তখন তাঁদের দল নাকি একেবারেই তৈরি ছিল না। শুধু তাই নয়, সেই ম্যাচে অসম লড়াই হয়েছিল। এমনটাই দাবি এসসি ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ টনি গ্রান্টের। কোচ রবি ফাওলার নির্বাসনের কারণে শুক্রবারের মেগা ম্যাচেও ডাগ আউটে বসতে পারবেন না। লিভারপুল কিংবদন্তির সহকারীর হাতে এই বিশেষ ম্যাচেও থাকছে কোচিংয়ের রিমোট কন্ট্রোল। ডার্বির দল অবশ্য তৈরি করে দিচ্ছেন ফাওলারই।

প্রথম ডার্বি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফাওলারের ডেপুটি টনি গ্রান্টের বক্তব্য, ‘প্রথম ডার্বিতে আমরা একেবারেই তৈরি ছিলাম না। এত বড় ম্যাচ প্রথমেই দেওয়া ঠিক নয়। এটিকে মোহনবাগান দলের ফুটবলাররা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে। ফলে ওদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। তার সুবিধা পেয়েছে ওরা। তবে এবার দুটো দলই সমান। তাই এই ম্যাচ থেকে জয় পাব বলেই আশা করছি আমরা।’

ডার্বির গুরুত্ব বুঝলেও অন্যান্য ম্যাচের মতোই এই ম্যাচকে দেখতে চাইছেন টনি গ্রান্ট। তাঁর কথায়, ‘আমরা লিভারপুল-এভারটনের ডার্বি দেখেছি। একই শহরের দুই দল। অনেক স্মৃতি, ইতিহাস জড়িয়ে থাকে এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে, আশা করি আমরা ভাল খেলা উপহার দিতে পারব।’ অধিনায়ক ড্যানি ফক্স বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে বড় ম্যাচ। তবে অন্যান্য ম্যাচের মতোই এই ম্যাচে জিতলেও ৩ পয়েন্ট পাব আমরা। আমাদের হাতে শেষ ৩টি ম্যাচ আছে। এই ৩ ম্যাচে ভাল কিছু করতে হবে।’ শীর্ষে থাকা এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডিফেন্সকে ভাল খেলতে হবে এটা মেনে নিচ্ছেন ফক্স। তাঁর বক্তব্য, ‘ওদের দলে অনেক ভাল ফুটবলার আছেন। তাই আমাদের রক্ষণভাগকে সজাগ থাকতে হবে। তবে আমাদের আক্রমণভাগও ভাল খেলছে। তাই আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।’

রয় কৃষ্ণার সঙ্গে দ্বৈরথ বেশ উপভোগ করছেন ফক্স। শুক্রবারের ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সেরা ফুটবলারের বিরুদ্ধেই ভাল খেলতে চাইব। রয় বেশ কিছু বছর ধরেই ভাল খেলছে। এটা কঠিন ম্যাচ হবে, কারণ এটিকে মোহনবাগান ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলছে।’ ভারতীয় ফুটবলারদের নির্বাচন নিয়ে ফের একবার ক্লাব কর্মকর্তাদের দিকে আঙুল তুললেন এসসি ইস্টবেঙ্গল সহকারী কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা কোচরা যে দলের সব ফুটবলারকে দেখে দলে নিয়েছি, এমনটা নয়। আপনারা শুনলে অবাক হবেন, অনেক ফুটবলার ১৮ বছর বয়স হওয়া হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন নেই। তাই ওদের ভাল রাখার দিকে আমরা নজর দিয়েছি। ধীরে ধীরে ওরা উন্নতি করবে।’

Related Articles

Leave a Comment