কলকাতা, ২৩ জানুয়ারি: সুগত বসুরা চাননি ২৩ জানুয়ারি নেতাজি ভবনের ভিতরে রাজনীতি প্রবেশ করুক৷ সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে নেতাজি ভবনের ভিতরে ঢুকতে পারলেন না বঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ ভবনের ভিতরে ছিলেন ততক্ষণ চন্দ্র বসু, স্বপন দাশগুপ্ত, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা অপেক্ষা করলেন বাড়ির বাইরে।
দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী গাড়ি থেকে নামার পর তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রা। তারপর সুগত বসুর সঙ্গে বাড়ির ভিতর প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সুগত বসু ও সুমন্ত বসু, অপর দুই সদস্যরা তখন বাড়ির ভিতরে ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রথমেই সুগত বসুরা জানান, শুধু প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো বাড়ির ভিতরে তাঁরা ঢুকতে দিতে চান না। অর্থাত্ শুধুমাত্র পদাধিকার বলে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে ছাড়া অন্য রাজনৈতিক বৃন্দকে চাইছে না নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো। সুগত বসুর আবেদন মেনে বিজেপি-র কোনও নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাজি ভবনের ভিতরে ঢোকেননি। তাঁরা বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন। নরেন্দ্র মোদীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, স্বপন দাশগুপ্তরা বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল।
এদিন ১৫ মিনিট নেতাজি ভবনে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সুগতর আবেদন মেনে বিজেপি-র কোনও নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেতাজি ভবনের ভিতরে ঢোকেননি। তাঁরা বাইরেই দাঁড়িয়েছিলেন। সুগত পরে বলেছেন, ‘উনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নেতাজি ভবনে এসেছিলেন। কোনও রাজনৈতিক নেতা হিসাবে আসেননি। যেমন সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবে নয়। তাঁর সঙ্গেও দলের কেউ আসেননি।’ তবে চন্দ্র বসুর বক্তব্য, ভিতরে প্রচুর ভিড় ছিল৷ করোনা পরিস্থিতির জন্যই তাঁরা ভিতরে ঢোকেননি৷ এর জন্য বিতর্ক তৈরি করা উচিত নয়৷
প্রথমে শনিবারের কলকাতা সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরে নেতাজি ভবন ছিল না। কিন্তু সেটা কোনও ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’ ছিল না বলেই সূত্রের খবর। পরে সফরসূচি পরিবর্তন করে এলগিন রোডে নেতাজি ভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এদিন নেতাজির বাসভবনে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদী বাঙালি ভাবাবেগ উস্কে দিতে চেয়েছেন।