মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেকে। জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে আকস্মিক মৃত্যুর কারণ জানতে গায়কের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কেকে-র মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে।
‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’, ‘তড়প তড়প কে ইস দিল সে…’, ‘আঁখো মে তেরি..’, ‘কোই কহে, কেহতা রহে…’ – মতো অগুন্তি হিট উপহার দিয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীদের। ১৯৬৮ সালে ২৩ আগস্ট দিল্লিতে একটি মালায়লম পরিবারে জন্ম কেকের। হিন্দি, তামিল, কন্নড়, তেলুগু, বাংলা সহ একাধিক ভাষায় গান গেয়েছেন। একটা সময় মার্কেটিং এগজিকিউটিভ হিসেবে চাকরি করেছেন তিনি। সঙ্গীতে প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও তিনি বলিউডের এই প্রজন্মের অন্যতম বৈচিত্র্যময় গায়ক। ১৯৯৯ সালে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমার ‘তড়প তড়প কে ইস দিল সে..’ গানটিই বলিউডে প্রথম সাফল্য কেকে’র। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। তার আগে ১৯৯৬ সালে গুলজারের ‘মাচিস’ সিনেমার ‘ছোড় আয়ে হম উও গলিয়াঁ…’ গেয়েছিলেন তিনি।