ফ্রান্সে বন্দী থাকা বিমানটিতে ৩০৩ জন ভারতীয় যাত্রী
ফ্রান্সে বন্দী থাকা বিমানটিতে ৩০৩ জন ভারতীয় যাত্রী, ফরাসি মিডিয়ার মতে, বেশ কয়েকটি শিশু এবং নাবালক রয়েছে। ২১ মাস বয়সী শিশুকে নাবালকের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের অনেকেই অভিভাবক ছাড়া একা। ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে যে যাত্রীদের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকরা দেখা করেছেন। ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বড়দিনের ছুটির সময়েও এই বিষয়ে ভারতকে সাহায্য করতে কাজ করার জন্য ফরাসি কর্তৃপক্ষের কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে দূতাবাস। ৩০৩ ভারতীয় যাত্রী বহনকারী একটি বিমান সংযুক্ত আরব আমিরশাহি দুবাই থেকে নিকারাগুয়া যাওয়ার সময় ফ্রান্স বিমানটি কে থামিয়ে দেয়।
মানুষ পাচার চক্রের শিকার
মার্ন অঞ্চলের ভ্যাট্রি বিমানবন্দরে জ্বালানি ভরার জন্যে নেমেছিল বিমানটি। ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানান, ওই তাঁদের জানিবিমানের যাত্রীরা মানুষ পাচার চক্রের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলেয়েছেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
বিমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ফ্রান্সের সংগঠিত পুলিশ
ফরাসি পুলিশের একটি দল দুইজনকে আটক করেছে। বিমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ফ্রান্সের সংগঠিত পুলিশ। যাত্রীদের সঙ্গে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা আজ দেখা করেন । একটি ফরাসি মিডিয়া আউটলেট জানিয়েছে যে যাত্রীদের মধ্যে ১৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন নাবালক রয়েছেন। অনেকের মতে, ওই যাত্রীদের সম্ভবত মধ্য আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে হয়তো তাঁদের বেআইনি পথে আমেরিকা বা কানাডায় পাঠানোর চেষ্টা করা হত। ফরাসি আইন অনুযায়ী, অন্য দেশের নাগরিককে প্রাথমিক ভাবে চার দিন আটক রাখতে পারে ফরাসি পুলিশ। বিদেশী নাগরিকদের আইনি নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ফরাসী পুলিশ চার দিন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারে। পরে বিচারকের অনুমতি পেলে আট দিন পর্যন্ত আটক রাখা যায়। বিশেষ পরিস্থিতিতে রাখা যায় ২৬ দিন পর্যন্ত। মানুষ পাচারের অপরাধে ফ্রান্সে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আজ, দলের সদস্যরা তাদের ক্লায়েন্ট, এয়ারলাইন লিবিলিয়ানা বাকায়োকো কর্পোরেশনের পক্ষে লেজে এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। যাত্রীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য গ্রাহক দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছিল। যাত্রীদের অপরাধ সংক্রান্ত রেকর্ড জানা বিমান সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে ‘লেজেন্ড এয়ারলাইন্স’ বেআইনি কাজ করেনি। তাঁর কথায়, ‘‘৩০৩ জন, এই সংখ্যাটি বিশেষ উদ্বেগজনক নয়। তাঁরা বাতাসহীন ও খাদ্যহীন অবস্থায় ট্রাকে বন্ধ নেই।’’