জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সাংবিধানিক
২০১৯ সালে কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা । সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভাগ করা হয়। তার পরেই সুপ্রিম কোর্টে এর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ৩৭০ ধারা বাতিলের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বহু মামলা দায়ের হয়েছিল। সেগুলি একত্র করে শুনানি শুরু হয়। সোমবার তারই রায় ঘোষিত হয়েছে। সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করা সাংবিধানিক। একই সাথে, সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরে রাজ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা উচিত। এর পাশাপাশি সেখানে বিধানসভা নির্বাচনও হওয়া উচিত। তার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির প্যানেল।সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন পরের বছর 2024 সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে হয়ে যাওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ জারি করেছে।
লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই থাকবে
সোমবার প্রধান বিচারপতি ঘোষণা করেন যে 370 ধারা বাতিল করা অসাংবিধানিক নয়। রাষ্ট্রপতি একটি বৈধ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ের অপর জোর দিয়ে বলেছে যে ৩৭০ অনুচ্ছেদের অধীনে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকারগুলি কেবল অস্থায়ী। কাশ্মীরের গণপরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরেও রাষ্ট্রপতি সেই ধারাটি প্রত্যাহার করতে সক্ষম হন। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি সম্পূর্ণ রাজ্য হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের মতে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবেই থাকবে।
বিচারপতি সঞ্জয় কল
বিচারপতি সঞ্জয় কলের মতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রসঙ্গে তিনি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এক মত। কাশ্মীরে সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে বিচারপতি কল বলেন, ‘‘শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা সেনার কাজ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তাদের কাজ নয়। কাশ্মীরে সেনা ঢোকায় তার কঠিন মূল্য দিতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বিচারপতি খান্না
বিচারপতি খান্না বলেন, ‘‘কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ অপ্রতিসম ফেডেরালিজমের উদাহরণ ছিল। তা কখনও জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্বের নির্দেশক নয়। তাই ওই অনুচ্ছেদ বাতিল কাশ্মীরের ফেডেরালিজম অক্ষুণ্ণই রেখেছে।
এনসি নেতা ওমর আবদুল্লা
কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনসি নেতা ওমর আবদুল্লার মতে , ‘‘আমি হতাশ। তবে আশাহত নই। আমাদের লড়াই জারি থাকবে। বিজেপির এই জায়গায় পৌঁছতে বহু বছর সময় লেগেছে। আমরাও দীর্ঘ লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’’