ভগত সিং ফ্যান ক্লাব
গোয়েন্দাদের দাবি, সন্দেহভাজনরা ‘ভগত সিং ফ্যান ক্লাব’ পেজে কথা বলেছিল। সংসদ ভবনে হামলার ষড়যন্ত্র ছিল বলেও তদন্তকারীদের ধারণা। নতুন সংসদ ভবনে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয়জনের ফেসবুক প্রোফাইল খতিয়ে দেখছে তদন্তকারিরা। দিল্লি পুলিশ ফেসবুকের মূল সংস্থা “মেটা” কে চিঠি লিখেছে। গোয়েন্দাদের দাবি, সন্দেহভাজনরা ‘ভগত সিং ফ্যান ক্লাব’ পেজে কথা বলেছিল।
হামলার এক অন্যতম ষড়যন্ত্র
তদন্তকারীদের মতে, সংসদ ভবনে হামলার এক অন্যতম ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। যদিও পরে ফেসবুক ওই অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেয়। দিল্লি পুলিশ সেই পৃষ্ঠার স্পেসিফিকেশন অনুরোধ করে মেটাকে চিঠি দিয়েছে। সূত্রের দাবি, গোয়েন্দারা মেটাকে অভিযুক্তদের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনও ফরোয়ার্ড করতে বলেছে। উপরন্তু, সূত্র অনুসারে, পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরগুলির সাথে সংযুক্ত ইমেল ঠিকানাগুলি তদন্ত করতে চায়।
১৩ ডিসেম্বর সংসদে রঙিন বোমা হামলা
পুলিশ সূত্রের দাবি যে ১৩ ডিসেম্বর সংসদে রঙিন বোমা হামলার ঘটনায় তারা কোনও টাকা পেয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে অভিযুক্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি পরীক্ষা করা হচ্ছে। রবিবার, দিল্লি পুলিশের বেশ কয়েকটি দল অভিযুক্তের আত্মীয়দের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করেছে। হরিয়ানার জিন্দ এবং উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে জব্দ করা পাসবুকগুলি ছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি নীলম আজাদ এবং সাগর শর্মার।
‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে
সুত্রের খবর সোমবার পুলিশের স্পেশাল সেলের একটি দল মাইসুরুতে অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি-র বাড়িও যায়। মনোরঞ্জনের বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা ছিলেন তদন্তকারীরা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেশি কিছু নথি । পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে কোনও ডিজিটাল লেনদেন হয়েছিল কি না, তা দেখতে ‘গুগল পে’ এবং ‘পেটিএম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন
প্রসঙ্গত, গত বুধবার লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন সাগর এবং মনোরঞ্জন গ্যালারি থেকে চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের কাছে ছিল রংবোমা। তা দিয়ে তাঁরা চারদিকে ছড়িয়ে দেন হলুদ ধোঁয়া। দিল্লির থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ললিত ঝা এবং মহেশ কুনাওয়াত। তাঁদের সকলকেই সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।