মিটিং শুরু হলে কুণাল রাসমণির পাশে দাঁড়িয়েছেন, যিনি প্রতিবাদে চুল প্রদান করেন।
বিকাশ ভবনে, শিক্ষামন্ত্রী এসএলএসটি চাকরির আবেদনকারীদের স্বাগত জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন, রাসমণি পাত্র, একজন এসএলএসটি চাকরি প্রার্থী, ধর্না ময়দানে মাথা ন্যাড়া করে যিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রাসমণির পাশে বসেছিলেন কুণাল ঘোষ, যিনি চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর পাশে ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
কুনাল ঘোষ এদিন দলের মুখপাত্র হিসাবে কাজ করার পরিবর্তে চাকরি প্রার্থীদের পক্ষে ছিলেন।
কুণাল বৈঠকের আগে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এই সময়ে শাসক দলের মুখপাত্র নন। বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বৈঠকে তিনি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কুণাল বলেছেন, “আমি থাকছি কারণ তারা আমাকে থাকতে বলেছে, আমি সরকারের সদস্য নই।”
শিক্ষামন্ত্রীর ডান দিকটা চাকরিপ্রার্থীদের দখলে ছিল। শিক্ষা দফতরের সদস্যরা টেবিলের উল্টো প্রান্তে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বোসের বাম দিকে বসেছিলেন। বোর্ড এসএলএসটি-তে নিয়োগের চিঠি জারি করার পর থেকে তাকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে । এছাড়াও শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন এবং এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও এদিন উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগে নির্দেশ দিয়েছেন , জানালেন চাকরিপ্রার্থীরা
চাকরিপ্রার্থীরা জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে, সমস্ত আইনি জটিলতা কাটিয়ে যেন চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয় । মোট ৫৫৭৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান চাকরিপ্রার্থীরা
দফতর গুলির মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা হচ্ছিল, বললেন চাকরিপ্রার্থীরা
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, ‘‘কিছু দিন আগে অবধি বিভিন্ন দফতরের মধ্যে যোগাযোগের সমস্যা হচ্ছিল। আজকের বৈঠকে বোঝা গেল দফতরগুলির মধ্যে সংযোগ ঠিক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আইনি জট কাটিয়ে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এখন জানতে চাই সেই ফল কবে ঘটবে আলোচনায় বলা হয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে কতদূর অগ্রগতি হয়েছে, তার রিপোর্ট দিতে হবে। আপাতত ২২ ডিসেম্বর সেই রিপোর্ট পেশের দিন ঠিক হয়েছে। ওই দিন মিটিংয়েই আমরা এ বিষয়ে জানতে পারবো।’’
ধর্না মঞ্চে মাথা কামানো রাসমণির বক্তব্য
রাসমণি বলেন, ‘‘কোথায় জট, তা জানতে এসেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ দিয়ে বাড়ি পাঠানো হবে। কবে নিয়োগ সেটা ২২ তারিখ জানতে পারব। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আশা করি আমরা দ্রুত স্কুলে ফিরতে পারব। জীবনটা বাঁচবে। আমরা খুবই খুশি হয়েছি আজকে।’’
বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে ব্রাত্যের সাংবাদিক বৈঠক
আইনি জটিলতা দ্রুত কাটবে তিনি আশা রাখেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দিতে পারবেন। আমরা জট কাটানোর চেষ্টা করছি আদালত যা বলবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে নিয়োগ দিতে শুরু করব। সুপ্রিম কোর্টের একটি তারিখ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সেই জট কাটলেই নিয়োগ দেওয়া শুরু হবে।