সব জল্পনা অবসান ঘটল। বাতিল করে দেওয়া হল মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সাংসদ পদ। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলে সংসদ থেকে বিতাড়িত করা হল মহুয়াকে। প্রায় ঘণ্টাখানেকের আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধ্বনিভোটের পর পাকাপাকি সিদ্ধান্তে আসে সংসদ।
সংক্ষেপে সংসদের চিত্র –
সুদীপ বন্দ্যপাধ্যায়ের বক্তব্যে
স্পিকারের হাতে চিঠি দেওয়ার পর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৪৯৫ পৃষ্ঠার একটি চিঠি।” পড়তে একটু সময় লাগে। আমরা একটি ৪৮ ঘন্টা অনুরোধ করেছি আমি যখন পড়াশুনা করেছি তখন এই বিষয়ে কথা বলব। প্রাথমিক বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
নুসরাত জাহানের কথায়
বসিরহাট তৃণমূলের সাংসদ নুসরাত জাহান জানান, “আমরা নীতিশাস্ত্র কমিটির রিপোর্টের একটি হার্ড কপির জন্যে অনুরোধ করেছি। অনুগ্রহ করে আমাদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্টটি পড়তে দেওয়া হোক। আমি মনে করি মহিলাদের সাথে একটু বেশি সম্মানের সাথে আচরণ করা উচিত। মহুয়াকে নিজেকে একবার কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
সভা শুরু হল
দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি রাখা হয়েছিল। আবার অধিবেশন শুরু হয়।
প্রতিবেদনে, লোকসভার নীতিশাস্ত্র কমিটি পরামর্শ দিয়েছে যে মহুয়াকে গুরুতর কোন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।
বিজেপি সাংসদের কথায়
বিজেপি সাংসদ হিনা গ্যাবিট বলেছেন যে তিনি নীতিশাস্ত্র কমিটির রিপোর্ট পড়তে দুই ঘন্টা সময় ব্যয় করেছেন। আগের ঘটনাকে তিনি উল্লেখ করে বলেন যে লোকসভার সদস্যদের ঘুষ নেওয়ার অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সুদীপ বন্দ্যপাধ্যায় জানান, যে তিনি তৃণমূলের তরফে কোন কথা বলবেন না, এবং তিনি মহুয়াকে তার নিজের কথা নিজেকেই বলতে হবে। তৃণমূল আশা করছে মহুয়াকে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।
স্পিকার মহুয়াকে কথা বলতে বাধা দেন
মহুয়া মৈত্রকে কথা বলার সুযোগ দেননি স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি দাবি করেছিলেন যে মহুয়া ইতিমধ্যেই তাঁর বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাই তা আর সম্ভব নয়।