কলকাতা টুডে: সোমবার ডানলপ ময়দানে জনসভা করে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক তার ৪৮ ঘণ্টা পর ওই একই জায়গা থেকে জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘তিনি যেখানে বক্তৃতা দেন, সেখানে ট্রান্সপারেন্ট কাচ লাগিয়ে রেখে দেন। লিখে নিয়ে আসেন। দেখে বলেন ভাল আছেন তো? আমার এখানে ট্রান্সপারেন্ট কাচ নেই। একলাইন বাংলা বলে বাংলার মন জয় করা যায় না। আমিও গুজরাতি জানি। আমি তো কাচ দেখিনি। এসব জানতে হয়। সেদিন বড় বড় কথা বলে গেলেন। এখানকার মা-বোনেরা সুরক্ষিত নয়। বিজেপির দলে মেয়েরা সুরক্ষিত তো? উত্তরপ্রদেশে সুরক্ষিত? বিহারে সুরক্ষিত? মধ্যপ্রদেশে সুরক্ষিত? সব জায়গায় অরক্ষিত না হলে কুরক্ষিত। বাংলায় মা-বোনেরা ভাল আছে।’
নাম না করে মোদী-অমিত শাহকে হোঁদল কুতকুত ও কিম্ভূত কিমাকার বলেও কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, ‘এই দেশে দু’টো নেতা। একটা হচ্ছে হোঁদল কুতকুত। এর ইংরেজি, হিন্দি কী জানি না। ক্লাসিকাল বাংলা শব্দ। আরেকটা কিম্ভূত কিমাকার।’ বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে দাঙ্গাবাজ ও ধান্দাবাজ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘কথায় কথায় বলেন তৃণমূল তোলাবাজ। আপনি সবথেকে বড় দাঙ্গাবাজ। ধান্দাবাজ। ৫-১০ টাকা তুললে তাকে তোলাবাজ বলে। যাঁরা কোটি কোটি টাকা তোলেন? দেশকে বিক্রি করে দেন। কাটমানি খান। তাঁরা কি ক্যাটমানি খান না র্যাটমানি? নেংটি ইঁদুরের দল সব। বড় বড় কথা।’
বিজেপির বিরুদ্ধে ভুয়ো ভিডিও ও সিনেমা তৈরি করে মিথ্যে ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, ‘ফেক ভিডিও তৈরি করছে, ফেক সিনেমা তৈরি করছে। মানুষকে মিথ্যে বলছে। মিথ্যেবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ মোদী-অমিত শাহকে ফের নাম না করে দৈত্য ও দানব বলে কটাক্ষ করেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, ‘একটা পার্টি। একজন দানব, আরেকজন দৈত্য। একজন রাবণ, আরেকজন দানব। গায়ের জোর। আর খুচরো চুনো পুঁটির দল। বড্ড বেশি কথা বলছে। দুটো মাস সহ্য করতে হবে। তারপর দেখব কার কত জোর। পেশিবল নয়, গণতন্ত্রের জোর।’
এদিন বহিরাগত ইস্যুতেও বিজেপিকে একহাত নেন মমতা। বলেন, ‘আপনার এলাকায় গুণ্ডা ঢুকিয়ে দেবে। আপনার এলাকা বহিরাগতরা দখল করে নেবে। বাংলাটাকে বাইরের গুণ্ডা দিয়ে দখল করে নেবে। বাংলা চান? না বাংলাকে বিক্রি করে দেবে, সেটা চান? যদি বাংলা চান, তাহলে পরিষ্কার শুনে রাখুন। বাঙ্গাল নয়, বাংলা চাই। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। মোদী বাংলা শাসন করবে না। ফাইভ স্টার হোটেল থেকে পার্টি চলছে। সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ণ পার্টি।’