হরিয়ানার কাছেও হেরে মরসুম শেষ বাংলার, ময়নাতদন্তে সিএবি

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের কারণে এবার রঞ্জি ট্রফি হয়নি। ছোট মরসুমে মাত্র বোর্ডের দুটো টুর্নামেন্ট খেলল বাংলা। আর দুটোতেই ভরাডুবি। জোড়া বিপর্যয়। সৈয়দ মুস্তাক আলি জাতীয় টি-টিয়েণ্টির পর বিজয় হজারে ট্রফিতেও বিপর্যয়। একরাশ লজ্জা আর হতাশা নিয়ে এবারের ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুম শেষ করল বাংলা। অন্য রাজ্যগুলো যখন বাইরে গিয়ে দাপটের সঙ্গে খেলছে, তখন অনুষ্টুপ মজুমদারের দল ঘরের মাঠে লাগাতার দুটো প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত ব্যর্থ। তাও আবার ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে।

সোমবার হরিয়ানার বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির শেষ ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধেও হারল দল। আর তারপরেই ক্ষুব্ধ হতাশ সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া জবাবদিহি চাইতে কোচ অরুণ লালকে তলব করেন। সিএবি সভাপতি ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন দুই সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ও দেবব্রত দাস। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক চলে। ক্রিকেটারদের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতার অভাব থেকে শুরু করে ফিটনেসের ঘাটতির জন্যই এই বিপর্যয় হয়েছে। সেটাই নাকি সিএবি কর্তাদের সামনে তুলে ধরেছেন বঙ্গ কোচ অরুণ লাল।

তবে শুধু এদিনের বৈঠকেই সব শেষ নয়। খুব দ্রুত এই জোড়া বিপর্যয়ের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে সিএবি-র তরফে। অবশ্য সেটা স্বাভাবিক। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও দলকে তৈরি করার বিন্দুমাত্র খামতি রাখেননি সিএবি কর্তারা। তাই বেশ ক্ষোভের সঙ্গে সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া বললেন, ‘দলের সামগ্রিক ফলে আমরা হতাশ। এই মরসুম শুরু হওয়ার আগে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও দলকে একজোট করার জন্য সিএবি একাধিক প্রয়াস করেছে। তাই এই ফল আশা করা যায় না। কিন্তু দলে কোথায় সমস্যা হচ্ছে, সেটাও তো জানতে হবে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলব। ওঁদের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই আগামী মরসুমের রূপরেখা তৈরি করা হবে।’

বাংলা ক্রিকেটের উন্নতির লক্ষ্যে বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সচিব থাকার সময় ‘ভিশন ২০২০’ শুরু করেছিলেন। ভিভিএস লক্ষ্মণ এই প্রকল্পের সঙ্গে এখনও যুক্ত। যদিও এতে লাভের লাভ কি আদৌ হচ্ছে? ডালমিয়া বললেন, ‘এই প্রকল্প নিয়ে আমরা নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করছি। সেই জন্য এই প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘ভিশন ২০২৫-কে সামনে রাখা হয়েছে। নতুন জুনিয়র ক্রিকেটার তুলে আনার জন্যও আমাদের ভাবতে হবে।’