প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে দেশের দীর্ঘতম কেবল-সেতু উদ্বোধন করেছে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটে দেশের দীর্ঘতম কেবল-সেতু উদ্বোধন করেছে। উদ্বোধনের পরে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সেতু উদ্বোধনের পর তিনি বলেন যে “ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমার ভাগ্যে এই সেতুটি লিখে রেখেছিলেন। তাই আমার হাত দিয়েই এই সেতুর নির্মাণ করিয়েছেন।”
তিনি ভগবান কৃষ্ণকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি, সেতু নির্মাণে অসহযোগিতার জন্য কংগ্রেস দলের সমালোচনা করেন। মোদি স্কুবা ডাইভিংয়ের মাধ্যমে ডুবন্ত শহর দ্বারকাও পরিদর্শন করেছেন, তিনি তার অভিজ্ঞতাটিকে ঐশ্বরিক বলে বর্ণনা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী সহ সারা দেশে বিভিন্ন AIIMS এর উদ্বোধন করেন তিনি । মোদি জোর দিয়েছিলেন যে তাঁর শাসনকালে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে একাদশ থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে।
উদ্বোধনের দিনেও কংগ্রেস কে দোষারোপ করতে ছাড়েননি মোদী
সুদর্শন সেতু, উদ্বোধনের দিনেও কংগ্রেস কে দোষারোপ করতে ছাড়েননি মোদী তিনি বলেছেন ‘‘গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সুদর্শন সেতুর প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তখন কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার। তারা ওই প্রস্তাবে কর্ণপাতও করেনি।’’ তার হাত ধরে দেশ কিভাবে এ উন্নয়নের পথে হাটছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন “যখন নতুন ভারতের গ্যারান্টি দিয়েছিলাম, তখন বিরোধীরা (কংগ্রেস) উপহাস করেছিল। আজ দেশবাসী দেখছে নতুন ভারত।
ওরা অনেক দিন দেশ শাসন করেছে, কিন্তু মানুষের উন্নয়ন করেনি। কারণ, ওদের উন্নয়নের লক্ষ্য ছিল একটি পরিবার। উন্নয়নের নামে আর্থিক নয়ছয় করেছে।” ২.৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুদর্শন সেতুটি ওখা এবং ভেট দ্বারকাকে জুড়েছে। চার লেনের সেতুটি ২৭.২০ মিটার চওড়া। সেতুটি নির্মাণে 979 কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এতে রয়েছে সোলার প্যানেল যা দৈনিক ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।জলের নিচে দ্বারকাধীশ মন্দিরে মোদির সফর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে তিনি এটিকে আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ করার অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সেতুর দুই দিকেই আছে শ্রী কৃষ্ণের প্রতিকৃতি। সমালোচক দের মতে রামের পর এবার শ্রী কৃষ্ণকে নিয়ে মানুষের মনে আবেগ তৈরী করতে চাইছেন তিনি।