Municipality Recruitment Scam : পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একাধিক তথ্য সামনে এসেছে বহুবার। আর এবার আরও একটি নথি এল ইডির হাতে। উদ্ধার হওয়া নথির মধ্যে কোনও পাতায় লেখা ‘সিএইচ’ কোথাও ‘ডিআই’। পুর নিয়োগ মামলায় উদ্ধার-হওয়া নথির পাতায় পাতায় এমনই একাধিক ইংরেজি অক্ষর এবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকদের নজরে। একাধিক ‘কোড’ শব্দ ‘ডিকোড’ করতেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর নাম ইডির হাতে এসেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। এ ছাড়াও সাংকেতিক শব্দের আড়ালে এক প্রাক্তন মন্ত্রীর নামও লুকিয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পদস্থ আধিকারিক। বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই মন্ত্রীই আপাতত তদন্তকারীদের নজরে।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে ঘুরপথে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন স্তর থেকে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে জানতে পারে ইডি। নথি অনুযায়ী জানা যায়, এক মন্ত্রী নিজেই পুরসভায় নিয়োগের জন্য একাধিক প্রার্থীর হয়ে সুপারিশ করেছিলেন। ওই মামলায় এক অভিযুক্তকে জেরা করা হয় এবং তার বয়ান রেকর্ড করা হই বলেও জানা গিয়েছে। তবে এখানেই থেমে থাকছে চায় না ইডি, এর থেকে আরও একাধিক তথ্য বার করতে মরিয়া আধিকারিকেরা।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে প্রমোটার অয়ন শীলের নাম প্রকাশ্যে আসে। সল্টলেকে অয়নের অফিস এবং হুগলিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেই ওএমআর শিটের পাশাপাশি ২৮ পাতার একটি নথি পান তদন্তকারীরা। আপাতদৃষ্টিতে তা প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি মনে করা হলেও পরে দেখা যায় ওই নথির মধ্যে রয়েছে একাধিক পুরসভার প্রার্থী তালিকা এবং সেই সংক্রান্ত সুপারিশ। বাজেয়াপ্ত সেই নথির মধ্যে প্রার্থী তালিকায় থাকা নামের পাশে বেশ কিছু ‘কোর্ড ওয়ার্ড’ পান তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
ইডি সূত্রের খবর, ‘সিএইচ’, ‘ডিআই’, ‘এসবি’, ‘এমএম’, ‘এ’ ইত্যাদি একাধিক ‘কোড ওয়ার্ড’ লেখা ছিল ওই নথিতে। তার রহস্যভেদ করতে গিয়ে রাজ্যের একাধিক প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম উঠে আসে। রাজ্যের সেই প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়িতে ইতিমধ্যেই পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে আরও একাধিক তথ্য।